৭ বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে সূচকের রেকর্ড উত্থান
রোববার ১৯ জানুয়ারি দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের রেকর্ড উত্থান হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ডিএসইএক্স সূচক ২৩২ পয়েন্ট বেড়েছে। যা কেনো একক দিনে সূচকের রেকর্ড বৃদ্ধি। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক এদিন ৬৭৭ পয়েন্ট বেড়েছে।
ডিএসই ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি ৪০৫৬ পয়েন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করে । এরপর বিগত ৭ বছরের মধ্যে সূচকটির আজ ১৯ জানুয়ারি সর্বোচ্চ উত্থান হয়েছে। এর আগে এই সূচকটির একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উত্থান হয় ১৫৫ পয়েন্ট। যা ২০১৫ সালের ১০ মে হয়েছিল। সেদিন সূচকটি ১৫৫ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ২৭৭ পয়েন্টে অবস্থান করছিল।
এদিকে চলমান পতনে খাদের কিনারে অবস্থান করছিল দেশের পুঁজিবাজার। এমন পরিস্থিতিতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে গত ১৬ জানুয়ারি নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠকে কয়েকটি নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া তারল্য সংকট নিরসনে সরকারি চার ব্যাংকের বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্তে সূচকের বড় উত্থান বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৫৭, ডিএসই-৩০ সূচক ৮০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯৯৭ ১৪৮৭ পয়েন্ট।ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪১১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ১৪৩ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৬৭ কোটি টাকার।
এ বাজারে ৩৫৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৪৬টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে, কমেছে ৬টির এবং ৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- স্কয়ার ফার্মা, সিঙ্গার, লাফার্জ হোলসিম, খুলনা পাওয়ার, এসএস স্টিল, গ্রামীণফোন, এডিএন টেলিকম, এনসিসি ব্যাংক, রিং শাইন এবং ব্যাংক এশিয়া।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৬৭৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ২৭৭ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৫৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২৩১টির, কমেছে ১৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির দর।
সিএসইতে ৪৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৩৫ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৮ কোটি টাকার।
