বইমেলা: মানসম্মত বই বা মানহীন বই-এটা কোন বিবেচনায়?

0
701

২০১৯ সালে, একাডেমি আয়োজিত একুশে বইমেলায় নতুন বই এসেছিল প্রায় পাঁচ হাজার। একটি মাত্র মেলায় নতুন পাঁচ হাজারের মত বই প্রকাশিত হওয়া মোটেই কম কিছু নয়।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই বিপুল সংখ্যক পুস্তকের মধ্যে মানসম্মত বই ছিল কতটি?

মেলার আয়োজক বাংলা একাডেমি অবশ্য একটা মূল্যায়ন করেছিল।শুরু থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রকাশিত ৪৬৮৫টি বইয়ের মধ্যে তাদের কাছে মানসম্মত বলে মনে হয়েছিল মাত্র ১১৫১টি বইকে।অর্থাৎ তাদের বিবেচনায় মেলায় প্রকাশিত ৭৬ শতাংশ বই-ই কোন মানের মধ্যে পড়ে না।

এই যে মানসম্মত বা মানহীন-এটা কোন বিবেচনায়? বইয়ের বাধাই, মুদ্রণ, কাগজ, ইত্যাদির বিবেচনায়; নাকি বইয়ের বিষয়বস্তু বা লেখার কোয়ালিটির উপর নির্ভর করে? একাডেমি অবশ্য এ বিষয়ে কোন ব্যাখ্যা দেয়নি। তবে এ বিভাজনটি যে,বিষয়বস্তু ও লেখার ভঙ্গির ওপর নির্ভর করেই করা হয়েছে,সেটা বুঝতে কোন সমস্যা হয়নি। গ্রন্থ একটি বাণিজ্যিক পণ্য মাত্র নয়।পণ্য হলেও এটি একটি বুদ্ধিবৃত্তিক পণ্য।

কিন্তু সমস্যা হলো,একাডেমি মানসম্মত বইয়ের সংখ্যা বলে দিয়েই তাদের দায়িত্ব সেরেছে, কিন্তু তারা বলেনি কোন বইগুলোকে তারা মানসম্মত বলতে পারছে না। সরাসরি তো বলেইনি,এমনকি আকারে ইঙ্গিতেও বলেনি।ফলে বই যারা কিনেছেন মেলা থেকে,তাদের মধ্যে দ্বিধাটা বরং কিছুটা বেড়েছে। তারা হয়তো পরে বসে ভেবেছেন,বই তো কিনলাম,ভালো বা মানসম্মত বই কিনলাম তো।মানহীন বই কিনলে পাঠক হিসাবেও আমি নিম্নমানের হয়ে যাবো না তো?

আসলে এই বিতর্কটাও তো রয়েছে,বইয়ের মান বলতেই বা কি বোঝায়? সকলের কাছে মান বা মানহীনের মাত্রা কি সমান? একজনের কাছে যা অসাধারণ,আর একজনের কাছে তা ফালতু হতেই পারে।তাই বাংলা একাডেমির এমন উদ্যোগকে কতটুকু সাধুবাদ জানানো যায়,তা নিয়ে দ্বিধা রয়েছে।তারচেয়ে বরং আয়োজক প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ক একটা কমিটি করে দিলেই পারে,প্রাজ্ঞ লোকদের সমন্বয়ে কমিটি।এমন কমিটি যাদেরকে অস্বীকার করা যায় না।তারা প্রতিদিন,অথবা দুতিন দিন পরপর একটা করে গাইডবুক জাতীয় বের করবে।যাতে প্রতিদিন প্রকাশিত নতুন বইগুলোর পরিচিতির পাশাপাশি প্রতিটি বইটি নিয়ে একটা আলোচনা থাকবে।এ নিয়ে যেমন বুকলেট থাকতে পারে,তেমনি বিষয়গুলো বাংলা একাডেমির ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা যেতে পারে।তাদের ওয়েবসাইটে বইমেলার ওপর আলাদা একটা ওয়েবপেজ থাকে। সেখানেই নতুন প্রকাশিত বইগুলো নিয়ে আলোচনা থাকতে পারে। এমনকি সেখানে বই বিষয়ে পাঠকের মতামতও থাকতে পারে।

পাঠক ক্রেতাদের জন্য এই যে গাইড তৈরির কথা বলা হচ্ছে,বাংলা একাডেমি নিজ দায়িত্বে মানহীন আর মানসম্মত বইয়ের ক্যাটাগরি করছে,এসবই কিন্তু এমনি এমনি নয়।‘বই’এর নামে যা কিছু বের হচ্ছে তার মধ্যে প্রকৃত বই থাকছে ক’টি। ঠিক আছে, বিষয়বস্তু নিয়ে না হয় বিতর্ক থাকলো, কিন্তু তাই বলে কি বাক্য বা শব্দগুলোও ঠিক থাকবে না? এমন আবোল তাবোল বই কিন্তু অনেক প্রকাশিত হচ্ছে একুশের এই মেলায়। প্রশ্ন উঠতে পারে-এতই যদি এলোমেলো হবে তাহলে প্রকাশকরা এমন বইয়ের পিছনে ‍বিনিয়োগ  করছে কেন? আসলে এটিই হচ্ছে কোটি টাকার প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তরের মধ্যেই রয়েছে বাংলাদেশের ‘জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা’ শিল্পের চলমান প্রবণতার স্বরূপটি।

দেশে এখন আর পেশাদার লেখক বলে কিছু নেই।একজন মানুষ কেবল লেখেন, লেখক-এটাই তার পরিচিতি,এমন এখন খুবই কম পাওয়া যাবে। হুমায়ূন আহমেদ পেশাদার লেখক ছিলেন,এই পরিচিতিকে প্রতিষ্ঠা করতে তিনি তার অধ্যাপনা পেশাকে ছেড়েছিলেন।এই সময়ে আর কাউকে তেমন একটা দেখা যায়নি।তারপরও প্রতিবছর সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার পর্যন্ত নতুন বই কিভাবে প্রকাশিত হচ্ছে? এটা সম্ভব হয়েছে একারণে যে,এখন আসলে সবাই লেখক,সবাই কবি।এদেশে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার,আমলা,ব্যাংকার,পুলিশ,আর্মী,আনসার,চৌকিদার,ছাত্র-ছাত্রী,গৃহবধূ, অবসরপ্রাপ্ত কিংবা বেকার-সবাই লেখক।বছরের অর্ধেক পার হওয়ার পর থেকেই এরকম লেখকের অস্থিরতা বাড়তে থাকে।বই মেলা ঘনিয়ে এলো,অথচ এবার কি বই বের হবে-তা ঠিক হলো না!পরস্পরের সঙ্গে দেখা হলে জানতে চায়-এবার তার কি বই বের হচ্ছে? সুপরিচিত যে কোন কবির চেয়ে এরকম লেখকের প্রতি প্রকাশকদের আগ্রহ থাকে তুলনামূলক বেশি। কারণ,এদের কাছ থেকে কেবল পান্ডুলিপিই নয়, সেই সঙ্গে নগদ অর্থকড়িও পাওয়া যায়। যার অর্ধেক দিয়ে বই ছাপিয়ে বাকিটা আগাম মুনাফা হিসাবে রেখে দেয়া যায়।

প্রকাশনা ব্যবসায় এই সময়ে মুরগী,প্রবাসী,গিভ এন্ড টেক-এই শব্দগুলো বেশ প্রচলিত। প্রথমেই ‘মুরগী’ বিষয়টা পরিষ্কার করতে একটা ঘটনা বলি। আমার এক সহকর্মী, মাঝেমধ্যে কবিতা-টবিতা লেখেন। তার সেই কবিতা নিয়ে অন্য সহকর্মীরা হাস্যরসও করেন।বছর দুয়েক আগে এক ফেব্রুয়ারিতে এই ভদ্রলোক আমার কাছে এলেন তার একটা কবিতার বই নিয়ে।তাকে উৎসাহ দিতে বইটি কিনলাম। কিন্তু পড়তে যেয়ে বড়ই হতাশ হলাম।তাকে বললামও।তিনি জানালেন,মেলা উপলক্ষে কিছু কবিতা তাড়াহুড়া করে লেখা হয়েছে,তাই সব কবিতার ক্ষেত্রে মান রক্ষা করা যায়নি। কোন কোনটা একটু দুর্বল হয়ে গেছে।আমি আর কিছু বললাম না,যদিও আমার কাছে তার তাড়াহুড়া আর ভেবে চিন্তে লেখা সব কবিতা একই রকম লেগেছে।অফিসেরই কেউ কেউ আবার দেখলাম তার সামনে উচ্ছসিত প্রশংসা করলেন,তিনি চোখের আড়াল হতেই নানা রসিকতায় মাতলেন। সেইসব মেকি প্রশংসার কারণেই হোক বা অন্য কোন কারণেই হোক,পরের বছর ভদ্রলোক আবার একটি নতুন কবিতার বই নিয়ে হাজির। এবার আমার কৌতূহল হলো,এই মানের কবিতার বই প্রকাশকেরা ছাপতে আগ্রহ অনুভব করেন কিভাবে? বিষয়টা নিয়ে ওনার সঙ্গে কথা বললাম। উনি বললেন,আমরা তো নতুন লেখক,তাই প্রকাশকরা আমাদের বই এমনি এমনি ছাপতে চায় না। আমাদেরকে কিছু অর্থ কন্ট্রিবিউট করতে হয়।আপনাকে কত দিতে হলো? জানতে চাইলাম আমি। তিনি জানালেন-চল্লিশ হাজার টাকা।এই বিপুল অর্থের বিনিময়ে কবি সাহেব কি পেয়েছেন? ছয় ফর্মার পাতলা একটি প্রকাশনা,এবং লেখক কপি হিসাবে কুড়ি কপি বই।এর বাইরে তাকে বলা হয়েছে-যেন প্রতিদিনই তিনি মেলায় ওই প্রকাশনীর স্টলের আশপাশে থাকেন,পরিচিত লোক পেলে তাদেরকে তার বইটি কিনতে বলেন!এভাবে তিনি গোটা দশেক বই বিক্রির ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন। লেখক কপি হিসাবে পাওয়া বইগুলো বিভিন্নজনকে উপহার দেয়ার পর,আরও বই যখন প্রকাশকের কাছ থেকে আনতে গেলেন,প্রকাশক জানালেন-কিনে নিতে হবে। নিজের বই নিজেই তখন ২৫ পার্সেন্ট কমিশনে কিনে বিভিন্ন জনকে উপহার দিয়েছেন কবি ভদ্রলোক। ঢাকার প্রকাশকদের কাছে এই ধরনের লেখকদের পাওয়া মানেই হচ্ছে মুরগী ধরা। এই মুরগী টাইপ লেখকরা খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে থাকেন, একুশের বই মেলায় এদের উপস্থিতি প্রায় নিয়মিত থাকে।

তবে প্রকাশকদের মূল লক্ষ্য কিন্তু থাকে প্রবাসী লেখকদের প্রতি। বিদেশে যাওয়ার পর অনেক বাংলাদেশির মধ্যেই দেশপ্রেম অতি তীব্র আকার ধারণ করে। আর যারা রাজনীতি বিমুখ মানুষ, তাদের মধ্যে উথলে ওঠে কাব্য প্রেম। অনেকে আবার স্মৃতিচারণমূলক লেখায় উৎসাহী হয়ে পড়েন। এরকম একজন লেখকের সন্ধান পেলে খুবই খুশী হন প্রকাশকরা। অনেক প্রকাশক আবার বছরের মাঝামাঝি ইংল্যান্ড,অ্যামেরিকা, মধ্যপ্রচ্যে চলে যান প্রবাসী লেখকদের ধরতে। দিন পনের থেকে যখন ফিরেন, দেখা যায় তাদের লাভই হয়। কারণ প্রবাসী লেখকরা টাকা পয়সা নিয়ে তেমন একটা হিসাব করেন না। তারা দেখেন কেবল প্রকাশনার মান, কাগজ বাধাই এসব ভালো হলেই হলো। সেসব বই তারা বিভিন্ন জনকে উপহার হিসাবে দেন, সমাজে তাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়।

আর গিভ অ্যান্ড টেক-বিষয়টা তো এর নাম থেকেই ধারণা করা যায়। হয়তো আপনার ভাইয়ের কোন একটা ব্যবসায়িক কাজ আটকে আছে সরকারের কোন এক অফিসে।কিছুতেই হচ্ছে না।কোন সমস্যা নেই,আপনি ওই অফিস যে মন্ত্রণালয়ের অধীন তার মন্ত্রীর কাছে চলে যেতে পারেন। প্রকাশক হিসাবে মন্ত্রীকে বোঝাতে পারেন- তিনি একটা বই লিখতে পারেন। তেমন বই লিখলে,আপনি সেটা প্রকাশ করবেন। ব্যাস, আপনি যখন খোদ মন্ত্রীর বইয়ের প্রকাশক,আপনার ভাইয়ের কাজ আর কে আটকে রাখে? এটা সবসময় যে মন্ত্রী পর্যন্তই যেতে হয়,তা নয়। অনেক সময় সচিব, এমডি, বা ডিজিদের বই ছেপেও হতে পারে।

সৃজনশীল অর্থাৎ গল্প কবিতা উপন্যাস প্রবন্ধ-এসব বইয়ের একটা বড় ক্রেতা হচ্ছে সরকার। সরকারের বিভিন্ন লাইব্রেরীতে প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক বই কেনা হয়। কোন কোন বই কেনা হবে সেটা নির্ধারণের দায়িত্বে যারা থাকেন, তাদের কোন বই যদি আপনি বিনে পয়সাতেও প্রকাশ করে দিতে পারেন, তাহলে বছর ব্যাপী আপনার বিপুল সংখ্যক বই বিক্রির একটা নিশ্চয়তা থাকে। জানা গেছে, এবছর ক্ষমতাধর একজন সচিবকে বেশ কয়েকজন কবি তাদের বইটি উৎসর্গ করেছেন। এই উৎসর্গটি যতটা না শ্রদ্ধাজনিত, তার চেয়েও অনেকগুণ বেশি ব্যবসায়িক লক্ষ্যে। তাদের আশা, আগামী বছর সরকারি ক্রয় তালিকায় হয়তো এ কারণেই তাদের বই অবধারিতভাব অন্তর্ভূক্ত হবে।

একটা প্রশ্ন কিন্তু উঠতেই পারে-একুশের বইমেলা কি আসলে কার মেলা? কার স্বার্থে এই মেলা? বই,লেখক নাকি প্রকাশকের জন্য? যে মেলার খোদ আয়োজক বলে যে, প্রকাশিত বইয়ে ৭৬ শতাংশই মানহীন, তাকে তো আর যাই বলা যাক বই বা বুদ্ধিবৃত্তির জন্য আয়োজন বলা যাবে না। তাছাড়া এখানে আরও একটা বিষয় বলতেই হয়। জ্ঞান বা বুদ্ধিবৃত্তি কি নিয়ন্ত্রিত হতে পারে? জ্ঞানের চর্চাকে যদি লাগাম পরিয়ে দেয়া হয়, তাহলে সেটা কি আর জ্ঞান থাকে? এই যে ফেব্রুয়ারি থেকে মেলার আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে একাডেমির পক্ষ থেকে কিছু নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে-‘অশ্লীল, রুচিগর্হিত, জাতীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি কটাক্ষমূলক, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয় এমন বই বিক্রি প্রচার ও প্রদর্শন করা যাবে না।’ এখন এই রুচিগর্হিত বিষয়টা কি? সবার রুচি কি একরকম হবে? আপনি যাকে জাতীয় নেতা বলবেন বা মানবেন, এমন কোন গ্যারান্টি কি আছে যে তাকে সবাই তাই ভাববেন? ধর্মীয় অনুভূতি বলতেই বা কোন ধর্মের কথা বলা হয়েছে? হিন্দু বা খ্রিস্টান বা বৌদ্ধ ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত দেয় এমন বই কি প্রকাশ করা যাবে? এসব প্রশ্নের কোন সুনির্দিষ্ট জবাব নেই। আঘাত লাগলো কি লাগলো না- সেটা নির্ধারণ করবে কে? এ বিষয়েও কোন নির্দেশনা নেই। আর নির্দেশনা যেহেতু নেই, তো সে দায়িত্বটা পুলিশ নিজে থেকে নিয়ে নিয়েছে। পুলিশ বলছে, তাদেরকে দেখিয়ে নিতে হবে! পৃথিবীর কোন দেশে এরকম অদ্ভুত নিয়ম আছে কি-না বলা মুশকিল।

এতকিছুর পরেও একুশের বই মেলায় বই কিন্তু বিক্রি হয়। প্রচুর বিক্রি হয়। গেল বছরের এক হিসাবে দেখা যায় প্রায় আশি কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। এ হিসাব এসেছে খোদ বিক্রেতাদের কাছ থেকে। অনেকে অবশ্য বলেন- এতে অতিরঞ্জন আছে। হিসাবটা বেশি মনে হয় একটা তুলনা থেকে। কোলকাতা বইমেলায় বিক্রি কখনো ৩০ কোটি রুপী ছাড়িয়েছে বলে জানা যায়নি। আমরা কি ওদের চেয়েও বেশি বই পড়ি? দ্বিগুণের চেয়েও বেশি পড়ি?

তবে এত যে বিপুল বিক্রি, তারপরও লেখকরা কেন এটাকে পেশা হিসাবে নিতে পারছে না? প্রকাশকরা যদি পারে, তাহলে লেখকরা কেন পারছে না? এখানেই আসলে এসে যায় সেই প্রতারণা আর ফাঁকিঝুকির বিষয়টা। প্রকাশকরা লেখকদেরকে ঠকাচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদেরকে রয়্যালটি দিচ্ছে না, লেখক সম্মানীও না। একটা উদাহরণ দিই। এই যে ৮০ কোটি টাকা বিক্রি, রয়্যালটি যদি দশ শতাংশ করেও দেয়া হতো, তাহলে তো ৮ কোটি টাকা লেখকরা পেতেন। পান কি সেটা? একাধিক লেখকের অভিজ্ঞতা শোনার পর মনে হয়েছে, দেশের ৯৫ শতাংশ লেখকই তাদের প্রাপ্য সম্মানি থেকে বঞ্চিত হন। আবার লেখকরা সম্মানী পান না বলেই, সক্ষম লেখকরা লেখালেখিতে আগ্রহী হন না। তখন বাজার ভরে যায় মুরগী আর প্রবাসী লেখকে।

আর ৮০ কোটি টাকার বিক্রি, সেটার মুনাফা? বিপুল এই অর্থ যায় কোথায়? যায় ওই প্রকাশকের কাছেই।

dw:লেখক মাসুদ কামাল