‘করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে গেলেও অনাহারে থাকবে অনেকে’

0
541

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশব্যাপী ঘরে আবদ্ধ থাকা শুরু হয়েছে সেই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই শহরাঞ্চলের বহু মানুষ শপিং মল বা দোকানগুলিতে ভিড় করে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিসও কিনে নিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ও কাঁচাবাজার পৌঁছানোই একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পাইকারি বাজারগুলোতে কোনোভাবে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছাচ্ছে ঠিকই, তবে তা মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা নেই – কারণ ট্রেন সবধরনের পরিবহন , যান চলাচল বন্ধ। তাই শহরের বাজারগুলোতে পণ্য পৌঁছানো কঠিন হচ্ছে।”সেজন্য দামও বাড়ছে।অনেক দোকানেই পণ্য শেষ হতে শুরু করেছে – বাজারগুলিতে পণ্য কম – যেটুকু থাকছে, তার দামও অনেক বেশি। সবজির পাইকারি বাজার থেকে যেমন স্থানীয় বাজার বা খুচরো ব্যবসায়ীদের কাছে  পৌঁছানো একটা সমস্যা, তেমনই অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও পৌঁছানো যাচ্ছে না ঠিক মতো।

কীভাবে সরবরাহ ব্যবস্থা মসৃণ করা যায়, সে ব্যাপারে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেই। এরকম চলতে থাকলে একটা সঙ্কট তো হবেই,” । কিন্তু এর বাইরে বাংলাদেশের জনসংখ্যার বৃহত্তম অংশ – যারা দিন আনেন দিনে খান, অর্থাৎ রিকশা বা ভ্যান চালক, গৃহকর্মী, দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করা শ্রমিক – তাদের অবস্থা আরও শোচনীয়। ঘরবন্দি জেরে তারা কাজ করতে পারছেন না, এমন কি সকল পরিবহন বন্ধ থাকায় গ্রাম থেকে শহর বা শহরতলিতে আসতেই পারছেন না।

“শহরে যারা রিকশা বা ভ্যান চালাতে আসেন, তাদের একটা বড় অংশই গ্রামে কাজ না পেয়ে চলে আসেন।” “এখন সব বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে তারা কাজও পাচ্ছে না, আবার অন্যদিকে বেরও হতে পারছেনা । এরা কীভাবে বেঁচে থাকবেন ? হয়তো করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে বেঁচে যাবেন এরা, কিন্তু অনাহারেই তো মারা যাবেন অনেকে।” খাবার ছাড়াও বহু মানুষের প্রয়োজন চিকিৎসার। ওষুধের দোকান খোলা রাখা হচ্ছে ঠিকই , কিন্তু গ্রামের দুরারোগ্য ব্যধিতে যারা আক্রান্ত, তারা নিয়মিত ডাক্তার দেখাতে শহরে আসবেন কীভাবে, সেটা নিয়ে চিন্তায় আছে অনেকে। আবার জীবনদায়ী ওষুধ তারা যোগাড়ই বা করবেন কীভাবে গ্রামে বা ঘরে বসে। সেটা তাদের একটা দুশ্চিন্তা। এদের জন্য সরকার এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট ভাবে পরিকল্পনা ঘোষণা করে নি। তবে বুধবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষনে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন  ।